সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বামনা থানার ওসি প্রত্যাহার

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ। ফাইল ছবি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ। ফাইল ছবি

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা গ্রেপ্তার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিপেটা ও সহকর্মীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার বিকেলে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আজ বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রধান ও বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বামনা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’

গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার বামনায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সহপাঠী, শিক্ষক, স্বজন ও এলাকাবাসী অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বামনা থানা–পুলিশের একটি দল প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা ব্যানার-পোস্টার ছিনিয়ে নেয়। এরপর বামনা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা শুরু করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এতে ১০ শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় ওসি ইলিয়াসকে তাঁর এক সহকর্মীকে লাঞ্ছিত করতে দেখা যায়।

গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও শিক্ষার্থী সিফাত টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিফাতকে।