শেরপুরের এসপির পর স্ত্রী-ছেলেরও করোনা শনাক্ত

শেরপুরে পুলিশ সুপারের (এসপি) স্ত্রী ও ছেলেসহ একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শেরপুর সদরে ১২ জন ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৪ জন আছেন। এর আগে গত শুক্রবার এসপি কাজী আশরাফুল আজীমের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

সব মিলিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩০৩ জন। আর মারা গেছেন চারজন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্তদের মধ্যে আছেন এসপি কাজী আশরাফুল আজীমের স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসী ও ছেলে কাজী আফনান আজীম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আরজু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী শফিকুল ইসলাম, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মারুফুর রহমান ফকির, জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলমসহ আরও ৯ জন। শনাক্ত অন্যরা সদর ও শ্রীবরদী উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদুল আজহার পর থেকে শেরপুরে করোনার বিস্তার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনাভাইরাস শনাক্তের পর চার মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৩ জনে। এর মধ্যে আগস্ট মাসের ১১ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের পর যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সামাজিক ও পারিবারিক সংস্পর্শের কারণে সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই এর বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার ও মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

গতকাল পর্যন্ত জেলায় শনাক্ত ৩৫৩ জনের মধ্যে শেরপুর সদরে ১৬৯, নকলায় ৫৯, নালিতাবাড়ীতে ৬৫, ঝিনাইগাতীতে ২৯ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৩১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন চিকিৎসকসহ ৫৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৩৮ জন পুলিশ সদস্য।