১৫ জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার বেশি

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

দেশের সব জেলাতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে কিছু জেলায় সংক্রমণ বেশি। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশের ১৫টি জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার প্রতি ১০ লাখে এক হাজারের বেশি।

বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ১০ আগস্ট পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যার বিপরীতে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা ও ফরিদপুরে। এই দুই জেলায় প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

এরপরে আছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, ঝিনাইদহ ও মাগুরা। এই জেলাগুলোতে আক্রান্তের হার প্রতি ১০ লাখে ১০০১ থেকে ২০০০–এর মধ্যে।

অন্যদিকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, শেরপুর ও নেত্রকোনায় আক্রান্তের হার কম। এই জেলাগুলোতে আক্রান্তের হার প্রতি ১০ লাখে ২৫০ জনের নিচে।

মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি

দেশে ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এরপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ৯৯৬ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৪৭১। আর মোট সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, এত দিন ধরে অনলাইনে প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যে ব্রিফিং করা হতো, বুধবার (আজ) থেকে তা আর করা হবে না। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। তথ্যপ্রবাহে কোনো অসুবিধা হবে না।

নাসিমা সুলতানা বলেন, সবাইকে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে মেনে চলার পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যদিও আক্রান্তদের বেশির ভাগের লক্ষণ–উপসর্গ মৃদু। কিন্তু সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। সতর্ক না থাকলে যে কেউ যেকোনো সময় আক্রান্ত হতে পারে এবং কখন কার অবস্থা জটিল হবে, তা বলা যায় না। তাই কোনো অবহেলা করা উচিত হবে না। যাদের অন্যান্য অসংক্রামক রোগ আছে, তাদের জটিলতা বেশি। তাই আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।