বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন, বিএনপি তা কেড়ে নিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন, আর বিএনপি ২০০৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে এক কলমের খোঁচায় তা কেড়ে নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেই মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহায়তায় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের অনেক উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়। তাঁর হাত ধরেই ওয়েজবোর্ড গঠিত হয়। তিনি সাংবাদিকদের বিশেষ মর্যাদা দিতেন, যেটি ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এক কলমের খোঁচায় কেড়ে নিয়ে তাঁদের শ্রমিক বানিয়ে দিলেন। সাংবাদিকদের বিশেষ মর্যাদাটা কেড়ে নেওয়া হলো। অর্থাৎ তাঁরা (বিএনপি) সাংবাদিক ও শ্রমিকের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখল না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক, ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেই আইন সংশোধনের কাজ চলছে এবং সংশোধিত আইনের খসড়া ইতিমধ্যেই নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষাধীন রয়েছে, যা সমাপনান্তে শিগগিরই মন্ত্রিসভা হয়ে সংসদে উত্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সংশোধিত আইনটি পাস হলে সাংবাদিকদের যে মর্যাদা হরণ করা হয়েছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

করোনা মহামারির মধ্যে সাংবাদিক সহায়তা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাকালে উপমহাদেশের কোথাও যেটি করা হয়নি, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি করা হচ্ছে, চাকরিচ্যুতি, বেতন না পাওয়া বা দীর্ঘ বেকারত্ব—এই তিন ক্যাটাগরির অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দেড় হাজার সাংবাদিককে এই সাহায্য দেওয়া হয়েছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্তে এ সহায়তা দলমত–নির্বিশেষে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বা মানববন্ধন করে, গলা উঁচু করে বক্তৃতা করে, তাদেরও শেখ হাসিনার সরকারই সাহায্যের আওতায় এনেছে। হাছান মাহমুদ এ সময় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের যেভাবে দলমত–নির্বিশেষে এ সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তারা তা অনুসরণ করেছে।

মন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব সদস্য, শহীদ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের আত্মার শান্তিকামনা করেন।

তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে লাখো মুজিব, বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।’

তথ্যসচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ড সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান। বিজ্ঞপ্তি