এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখতেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট

এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নিয়মিত রোগী দেখতেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, ১২ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নিয়মিত রোগী দেখতেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, ১২ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নিয়মিত রোগী দেখতেন এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

জরিমানাপ্রাপ্ত ওই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের নাম এম নেসারুল ইসলাম। তিনি কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক নন, ডিপ্লোমা করা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এম নেসারুল ইসলাম আক্কেলপুর পৌর শহরের কলেজ বাজার এলাকার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (শুক্রবার বাদ) রোগী দেখতেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিতেন। তিনি ডায়াবেটিস রোগেরও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিয়ে রোগ নিরাময় হচ্ছিল না। তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক কি না, তা নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে সন্দেহ হয়। এ বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে ওই জরিমানা করেন।

ইউএনও বলেন, নেসারুলের নামে কিছু অভিযোগ আসে। বিশেষ করে তিনি এমবিবিএস চিকিৎসকের ভুয়া পরিচয় দিতেন। তিনি তাঁর নামের আগে এমবিবিএসসহ বিভিন্ন ধরনের মুখোরোচক বাক্য লিখে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জানা যায়, তিনি ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। পরে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়।