সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার উৎসমুখে দুই রূপ

সিলেট অঞ্চলের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার উৎসমুখে পানির স্তরে দুই রূপ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি কমছিল আর কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে পানি স্থির ছিল। এই পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় বাড়ছিল না, কমছিলও না। তবে এই সময়ে সীমান্তের নদ-নদীতে পানি কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্য থেকে এ কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।

সুরমা নদী সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা দিয়ে প্রবাহিত। সিলেট জেলায় কানাইঘাট ও সিলেট শহর পয়েন্টে সুরমার পানির স্তর পরিমাপ করা হয়। সুরমা কানাইঘাটে এসে লোভা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বর্ষায় এই স্থানটি নদীর উৎসমুখ ধরা হয়। সিলেটসহ সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার একাংশ দিয়ে প্রবহমান কুশিয়ারা নদীর উৎসমুখ হচ্ছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের অমলসিদ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বরাক মোহনা থেকে কুশিয়ারা নেমে এসেছে এপারে। পাউবো প্রতিদিন পাঁচবার অমলসিদ, বিয়ানীবাজারের শেওলা, মৌলভীবাজারের শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানির স্তর পরিমাপ করে।

পাউবো জানায়, গতকাল বুধবার সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বাড়লেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমছিল। বুধবার সন্ধ্যায় কানাইঘাটে সুরমার পানি ১১ দশমিক ৫১ মিটার থেকে নেমে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৩৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি কমছিল। দুপুর ১২টায় সেখানে ১১ দশমিক ৩৪ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। সুরমার পানি সিলেট শহর পয়েন্টে সকালে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে দুপুরে আবার কমেছে। দুপুর ১২টায় সেখানে ৮ দশমিক ৯৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো সূত্র আরও জানায়, একই সময়ে কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে পানি স্থির ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ১৩ দশমিক ৯৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ সকাল ৬টা, সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় পানির স্তর একই ছিল। পানির স্তর স্থির দেখা গেছে শেরপুর পয়েন্টেও। সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭ দশমিক ৭৩ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল পানি।

সুরমা-কুশিয়ারার উৎসমুখে পানির স্তরে দুই রূপ দেখা গেলেও সিলেটের সীমান্ত নদ-নদী হিসেবে পরিচিতি সারী, লোভা ও ধলাইয়ে পানি কমছিল। সারী নদীর জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট পয়েন্টে পানি আজ সকালে ৯ দশমিক ৭৮ মিটার থেকে নেমে দুপুরে ৯ দশমিক ৭৩ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। লোভা নদীর লোভাছড়া পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৪৬ মিটার থেকে নেমে ১২ দশমিক ৪২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধলাই নদে কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ০৮ থেকে নেমে দুপুরে ৯ দশমিক ০৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।