স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি বললেন, 'নতুন করে বলার কিছু নাই'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ

করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নতুন করে বলার তেমন কিছু নাই।’

তবে, এই কথা বলে আবুল কালাম আজাদ আজ বৃহস্পতিবারও পকেট থেকে একটি টাইপ করা দীর্ঘ বক্তব্য বের করে পড়ে শোনান। তাতে তাঁর দুদকে আসার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে শোনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা আমাকে আসতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি, তাঁদের বলেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়।’

এরপর দীর্ঘ বক্তব্যে আগের দিনের মতো নিজেকে দক্ষ ও মেধাবী দাবি করে আবুল কালাম আজাদ ইউরোপ ও আমেরিকায় কোভিড–১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুসংখ্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশে এটি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি ও করোনা মোকাবিলায় চরম অব্যবস্থাপনায় সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হওয়া আজাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। তিনি সরকারের সব অঙ্গকে সমন্বয় ও সক্রিয় করেছেন। তাঁর সময়োগযোগী বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশের করোনা পরিস্থিতিকে সহনশীল পর্যায়ে রেখেছে।’ তিনি দাবি করেন, এখন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় চলছে।

সকাল ১০টার দিকে আবুল কালাম আজাদ সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে আসেন। বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি বের হন। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধানকারী দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে সংস্থার পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের জানান।

আজাদ বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক, এটা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করব।’

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংকঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়েও অনুসন্ধান করছে দুদক।

আগের দিন বুধবার করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল আজাদকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে।