চুরি হওয়া ১৮ অটোরিকশার হদিস মিলল, আটক ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরে বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া ১৮টি অটোরিকশার হদিস পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ওই চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আটক তিনজন হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আলম ফরাজি (৪৪), যশোর সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪৮) ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মতিমিয়া সড়কের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৩৮)। তাঁদের মধ্যে আলম ও রবিউলকে গোপালগঞ্জ এবং মিজানুরকে কুষ্টিয়া শহর থেকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনজনই চুরির দায় স্বীকার করে যশোরের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মফিজুর রহমান বলেন, স্বীকারোক্তিতে তাঁরা আদালতকে জানিয়েছেন, কারাগারে রবিউল ও আলমের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তাঁরা একসঙ্গে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চুরি করে কুষ্টিয়ার মিজানুরের কাছে নিয়ে বিক্রি করতেন। তিনি জানান, তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, চুরি হওয়া ১৮টি অটোরিকশার হদিস মিলেছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর থানায় ১৫টি এবং যশোরে ৩টি রয়েছে। এগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, নড়াইলের চাকই গ্রামের অটোরিকশাচালক রফিক গাজীকে গত ২৮ জুলাই কল করে ভাড়ার কথা বলে যশোরের অভয়নগরের দেয়াপাড়া সেতুর সামনে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। এরপর রফিকের অটোরিকশা নিয়ে ওই ব্যক্তি বসুন্দিয়ায় যান। সেখানে এক বাড়িতে তাঁরা দুপুরের খাবার খান। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় পুলিশ রফিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ২ আগস্ট জ্ঞান ফিরলে রফিক জানান, তাঁর অটোরিকশা, নগদ টাকা ও মুঠোফোন খোয়া গেছে। এরপর গতকাল বুধবার রাতে জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশের নেতৃত্বে একটি দল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য আলম ফারাজি ও রবিউল ইসলাম নামের দুজনকে আটক করে। এ সময় সেখান থেকে ইমরান শেখ নামের অপহৃত কুষ্টিয়ার এক অটোরিকশাচালককেও উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের গ্যারেজ থেকে রফিক গাজীর অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। তখন গ্যারেজমালিক মিজানুরকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামিদের কাছ থেকে ১৮টি অটোরিকশা ছাড়াও ৭০টি চেতনানাশক বড়ি ও ৯টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। চেতনানাশক বড়ি ও মুঠোফোন চোরেরা অটোরিকশাচালকদের অচেতন ও অপহরণের কাজে ব্যবহার করতেন।