কারখানায় ৫৭ লাখ টাকার জাল নোট

রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাল নোট তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাল নোট তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি জাল নোট তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ শুক্রবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে ডিবি ৫৭ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবি সূত্র জানায়, আজ বিকেল চারটায় ডিবির গুলশান বিভাগের একটি দল পুরানা পল্টনে একটি বাড়ির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় জাল নোট তৈরির কারখানায় অভিযান চালায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৭ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় ছয়জনকে। তাঁরা হলেন চক্রের প্রধান শাহীন, হান্নান, কাওছার, আরিফ, ইব্রাহিম ও খুশী। শাহীন এ চক্রের অর্থের জোগানদাতা। কাওসার জাল নোট তৈরির বিশেষ কাগজ তৈরি করতেন। হান্নান জাল নোট ছাপতেন। আরিফ বিভিন্ন স্থানে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। আর আটক ইব্রাহিম ও খুশি আক্তার চক্র মার্কেটে ছড়িয়ে দিতেন।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে উদ্ধার করা জাল নোটের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরানা পল্টনে উদ্ধার করা জাল নোটের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

অভিযান তদারকি কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, দেড় মাস ধরে চক্রের সদস্যরা জাল নোট তৈরি করে আসছিলেন। প্রতিদিন তাঁরা পাঁচ লাখ জাল নোট তৈরি করতেন। জাল নোট তৈরিকারকেরা এক লাখ জাল নোট ৯ থেকে ১৩ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রি করতেন। আর খুচরা বিক্রেতারা তাঁদের কাছ থেকে কিনে এসব জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিতেন। জাল নোট তৈরিকারকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা উপকরণ দিয়ে ছয় কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করা সম্ভব ছিল।

ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগেও ডিবি চক্রের সদস্যদের একাধিকবার গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় তাঁরা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও পুরোনো পেশায় যুক্ত হন। তাঁদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।