ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঢাকায়

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এক ঝটিকা সফরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ একটি বিমানে শ্রিংলা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে শ্রিংলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দিতে আকস্মিক এই সফরে এসেছেন ।

এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি বাংলাদেশে শ্রিংলার দ্বিতীয় সফর।

আজ ঢাকায় অবস্থানের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গণভবণে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

এ ছাড়া শ্রিংলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কূটনৈতিক সূত্রগুলো ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফরের বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে নিশ্চিত করে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে যখন দুই দেশের নির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠক বাতিল হয়েছে, সেই সময়টাতে কেন এই অনির্ধারিত সফর তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে সূত্রগুলো রাজি হয়নি।

এ সফর নিয়ে কোনো পক্ষই মন্তব্য করেনি।

সাধারণত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এ ধরনের সফরের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফরকে ঘিরে এক ধরনের কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও কাছাকাছি এসেছে চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের এই ঘনিষ্টতা ভারতের জন্য নতুন করে অস্বস্তি তৈরি করেছে। তাই জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মোকাবিলাতে বাংলাদেশকে যত বেশি সম্ভব সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারত। এতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করা সম্ভব বলে দেশটি মনে করছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুতে দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্ক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পণ্য পরিবহণ বিঘ্নিত হয়। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় এই বাধা দূর করতে ভারত রেল ও নৌপথে দ্রুত পণ্য পরিবহণের উদ্যোগ নেয়। গত ছয় মাসে দুই পক্ষের অনির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠক স্থগিত হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার ফোনে কথাও বলেছেন। সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কোন বার্তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।