সাবেক চেয়ারম্যানের রগ কেটে দিল সন্ত্রাসীরা

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর সরিদ মোল্লার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা করতে সহায়তা করায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে ওই দিনই মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের পলাশ (১৮),সাইফুল (১৯) ও কাসেম (১৭) এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানতে পেরে আবদুর সরিদ (৬০) তাদের গালমন্দ করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে তারা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা গত শুক্রবার কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অপহরণকারীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার সকালে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ওই ছাত্রীর বাবা ও মা আহত হন।
সরিদের ছেলে রাসেল অভিযোগ করেন, গত শনিবার দুপুরে তাঁর বাবা নছিমনে করে ওই ছাত্রীর মা ও বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের নওয়াপাড়া নিয়ে যাচ্ছিলেন। মির্জাপুরের কাছে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কৃষ্ণপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান (৩০), পিকলুসহ (২৮) বেশ কয়েকজন নছিমনের গতিরোধ করেন। ওই সময় তাঁরা নছিমন থেকে নামিয়ে আবদুর সরিদের দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। এ ছাড়া তাঁরা তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়। মুঠোফোনে হাসপাতালের চিকিৎসক আবুল বাশার জানান, রোগী এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান, পিকলুসহ অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পিকলুর মা সমীরণ নেছা জানান, এ ব্যাপারে
তিনি কিছু জানেন না। আসাদুজ্জামানের বাবা তবিবুর রহমান দাবি করেন, তাঁর ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ছেলে কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে কাজে গেছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ কুমার বলেন, ‘এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা করতে সহায়তা করায় সন্ত্রাসীরা আবদুর সরিদের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’