পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে গতকাল বুধবার সকালে মাসুম হোসেন (২৪) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা সদরের বিহারীপাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে।
মাসুমের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে হত্যা করেছে। গত সোমবার রাতে ‘পুলিশের পোশাক পরা’ ও সাদাপোশাকের ৮ থেকে ১০ জন তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। সেই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে পুলিশ বলছে, তারা মাসুমকে হত্যা করেনি।
এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর গ্রামের একটি মেহগনিবাগানে সকালে কাজ করতে গিয়ে মাসুমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন কৃষকেরা। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মাসুমের স্ত্রী নাসরিন নাহার জানান, তাঁরা সপরিবারে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে মাসুমের নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ‘পুলিশের পোশাক পরা’ ও সাদাপোশাকের কিছু লোক এসে নিজেদের কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ বলে মাসুমকে ধরে নিয়ে যান। কিন্তু পরের দিন ওই থানায় গিয়ে মাসুমের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নাসরিন নাহারের অভিযোগ, পুলিশ মাসুমকে হত্যা করেছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁদের মারিয়া নামের ১১ মাসের একটি কন্যাশিশু রয়েছে। এই সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন কীভাবে বাঁচবেন।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি শাহজাহান আলী খাঁন দাবি করেন, মাসুম ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় দুটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। মহেশপুর থানায়ও মামলা আছে।
মহেশপুর থানার ওসি আকরাম হোসেন দাবি করেন, পুলিশ মাসুমকে আটক করেনি। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করতে পারে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না।