তিস্তা চুক্তি বাদ দিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়

আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার মালিকানা ভারতের একার নয়, তাই ভারত একতরফাভাবে এই নদীর পানি প্রত্যাহার করতে পারে না। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব যারা চায় না, তারাই তিস্তা চুক্তির বিরোধিতা করছে। তিস্তা চুক্তি বাদ দিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্ব হতে পারে না।
তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) লংমার্চ গতকাল শুক্রবার বগুড়া পৌঁছেছে। শহরের সাতমাথায় আয়োজিত এক সমাবেশে সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘৪৩ বছর ধরে শাসকগোষ্ঠীর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত থেকে ন্যায্য পানির অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণ। সেই প্রাণ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে বাঙালি তা মানবে না।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, পানির অভাবে তিস্তায় এখন ধু ধু বালুচর। অথচ বর্ষা এলেই ভারত পানি ছেড়ে দেয়। তখন হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসলহানি ঘটে। ভাঙনে বিলীন হয় শত শত ঘরবাড়ি। মুখে বন্ধুরাষ্ট্র দাবি করে এই যদি ভারতের পররাষ্ট্রনীতি হয়, তবে সেই বন্ধুর দরকার নেই।
বগুড়া জেলা বাসদের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ প্রমুখ।
ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া লংমার্চ গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ায় পৌঁছায়। আন্তর্জাতিক নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার বন্ধ ও তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে সিপিবি ও বাসদ এ লংমার্চ করছে।
বগুড়া জেলা সিপিবির সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম জানান, লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় রাতযাপনের পর আজ শনিবার সকালে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।
সিরাজগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের স্বাধীনতা স্কয়ারে সমাবেশ করেন লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা। সেখানে সমাবেশ শেষে বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা।