বারডেমের চিকিত্সকদের আন্দোলন চলবে

বারডেম হাসপাতালের চিকিত্সকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি শেষে চিকিত্সকেরা এ ঘোষণা দেন। এ সময় হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীরা সেবা পাননি।

চিকিত্সকেরা জানান, আগামীকাল একই সময় তাঁরা আবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। বারডেম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিত্সক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যতদিন পর্যন্ত চিকিত্সকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলনে চালিয়ে যাবেন।

কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীরা সেবা পাননি। এ সময় বারডেম হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মিলনায়তনে শতাধিক চিকিত্সক অবস্থান নেন। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের কয়েকজন চিকিত্সক সেখানে যোগ দেন। চিকিত্সকেরা বলেন, তাঁরা রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করেই কঠোর কোনো কর্মসূচি দিচ্ছেন না।

কাল মামলা হতে পারে

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চিকিত্সকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি। এ ব্যাপারে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আগামীকাল মামলা হতে পারে।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে আজ

সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর  ঘটনা সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন পরিচালক (ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস) মির্জা মাহবুবুল হাসান। 

যে কারণে আন্দোলন

১৩ এপ্রিল রাতে বারডেম হাসপাতালে সিরাজুল ইসলাম নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিত্সকেরা অভিযোগ করেন, ওই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা তিন চিকিত্সককে মারধর করেন। একজন নারী চিকিত্সক প্রাণভয়ে টয়লেটে লুকালে সেখান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই ঘটনায় ইন্ধন দেন মাসুদ হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস এম এ বাবু। চিকিত্সকেরা অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখা ও নতুন রোগী ভর্তি করা থেকে তাঁরা বিরত থাকেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। পরে ১৭ এপ্রিল বারডেম হাসপাতালের চিকিত্সকেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ায় চিকিত্সকেরা এই সিদ্ধান্ত নেন।