উদয়-সাব্বিরের খোঁজ মিলল না, সাগরে তল্লাশি সমাপ্ত

এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ইশতিয়াক বিন মাহমুদ উদয় ও সাব্বির হাসানের খোঁজ মেলেনি। অবশেষে আজ রোববার দুপুরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে কোস্টগার্ড।

সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার ও উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়কারী লে. শহিদ আল আহসান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, সেন্ট মার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার, সোনাদিয়া ও কুতুবদিয়ায় গত ছয় দিন সর্বত্র অভিযান চালানো হয়েছে। সাগর ও দ্বীপের কোনো জায়গায় নিখোঁজ দুই ছাত্রের সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি উপকূল থেকে দূরে চলে গেছে। আজ দুপুরে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন খোঁজখবর রাখবেন।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কয়েকজন বাসিন্দা ও জেলেরা জানান, সেন্ট মার্টিন থেকে মিয়ানমারের দূরত্ব আট কিলোমিটার। এ ক্ষেত্রে নিখোঁজ দুই ছাত্রের মৃতদেহ মিয়ানমারের উপকূলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত সোমবার বেলা দুইটার দিকে সেন্ট মার্টিনে সাগরে গোসল করতে নেমে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন ছাত্র স্রোতের টানে ভেসে যায়। পরে পাঁচজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মানফেজুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন মারা যান। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে শাহরিয়ার ইসলাম নোমান ও এস এম গোলাম রহিম বাপ্পির লাশ গত বুধবার সেন্ট মার্টিন থেকে উদ্ধার করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তাঁদের লাশ টেকনাফ থানার পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অন্যদিকে নিখোঁজ দুই ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসন নানাভাবে দ্বীপের চারদিকে তল্লাশি অভিযান চালায়। নৌবাহিনীর জাহাজ বিএন শাপলাও গভীর সাগরে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালায়।

পাশাপাশি টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন থেকে যেসব মাছ ধরার নৌকা সাগরের দিকে গিয়েছে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাগরে ভাসমান কিছু দেখলে তারা যেন কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। তা সত্ত্বেও দুই ছাত্রের খোঁজ মেলেনি।