বাগেরহাটে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দাবি স্বামীর

বাগেরহাটের মোল্লাহাটের উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে শরীফা আক্তার ওরফে পুতুল নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তাঁর লাশ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত একটি চাপাতি উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূর স্বামী শিকদার মাহামুদ আলম (৩৩) নিজেই স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দাবি করেছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর কীটনাশক পান করে সোমবার গভীর রাতে তিনি থানায় হাজির হয়ে এ দাবি জানান। মাহামুদকে পুলিশ প্রহরায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহত শরীফা আক্তার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের মো. আবু দাউদের মেয়ে এবং ঢাকা ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সমঞ্চান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মাহামুদ একই গ্রামের মৃত শিকদার সামছুল আলমের ছেলে।

প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

শরীফা আক্তারের প্রতিবেশী আয়ুব আলী জানান, বিয়ের মাত্র ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ তাঁর জানা নেই।

মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মাহামুদ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, কিছুদিন ধরে তিনি তাঁর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা আঁচ করছিলেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে অশ্লীল খুদেবার্তা দেখে তিনি পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে নিশ্চিত হন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

শরীফার বাবা মো. আবু দাউদ মাহামুদের এসব তথ্য অস্বীকার করে বলেন, মাহামুদসহ একাধিক হত্যাকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাঁর ধারণা।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে মাহামুদ একা থানায় এসে পুলিশের কাছে নিজের স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। থানায় আসার আগে তিনি কীটনাশক পান করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পুলিশ প্রহরায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।