মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনই কারণ!

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রাম থেকে গতকাল রোববার সকালে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের তারা মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৮) ও তাঁর মেয়ে সাবিয়া আক্তার (৭)৷
মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে কন্যাশিশুকে হত্যার পর ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে গ্রামবাসী ধারণা করছেন৷ পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে খাসজমিতে একটি ঘর তুলে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাস করে আসছেন তারা মিয়া৷ তাঁর ছেলে জহিরুল ইসলাম (১০) স্থানীয় বিজয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে৷ মেয়ে সাবিয়া ওই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত৷
তারা মিয়ার ভাবি মালেকা বেগম এবং ছেলে জহিরুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাতে স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে ছেলেকে নিয়ে তাঁদের খোঁজে বের হন তারা মিয়া৷ তাঁদের সন্ধান না পেয়ে রাত ১২টার দিকে ছেলেকে নিয়ে তারা মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন৷
গতকাল সকালে গ্রামের ফাঁকা জায়গায় একটি গাছের ডালের সঙ্গে জোসনা ও সাবিয়ার লাশ ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী৷ খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷
এদিকে খবর পেয়ে সকালে তারা মিয়া স্ত্রী-সন্তানের লাশ দেখতে গেলে এলাকাবাসীর কয়েকজন তাঁকে ধাওয়া করেন৷ এর পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন৷ গালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাসেম মোল্লাসহ একাধিক গ্রামবাসী জানান, অভাব-অনটনের সংসারে দিনমজুর তারা মিয়া মাদক সেবন করতেন৷
এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝগড়া হতো৷ তারা মিয়া মাঝেমধ্যে তঁার স্ত্রীকে মারধরও করতেন৷ এসব কারণে মেয়েকে হত্যার পর জোসনা আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন৷