মোবাইল ফোন ব্যবহারের দাম বাড়াতে চায় অ্যামটব

মোবাইল ফোন সেবার ওপর এবারের বাজেট যে বাড়তি করারোপ করা হয়েছে, তার ভার গ্রাহকের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) নেতারা এমনটাই আভাস দিয়েছেন।
আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিমের ওপর ৩০০ টাকার কর বহাল রাখার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে সিম রিপ্লেসমেন্টের জন্য ১০০ টাকা করে বাড়তি কর৷
এটা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে অ্যামটব নেতারা বলেছেন, করারোপ অব্যাহত থাকলে বর্তমান মূল্যে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে সেবার দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব আই এম নুরুল কবীর বলেন, মোবাইল ফোন কোম্পানির ওপর উচ্চ হারে করপোরেট কর আরোপ করা আছে৷ এটাও কমানো হয়নি। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হয়। আর দেশে গ্রামীণফোন হলো শেয়ারবাজারে একমাত্র তালিকাভুক্ত কোম্পানি।

সংবাদ সম্মেলনে রবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত করের কারণে সিম বিক্রি কমে যাবে৷ এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে যাবে। এতে সরকারের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর ও গ্রাহকেরা দুর্ভোগে পড়বেন। তিনি জানান, প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সিম পুনঃস্থাপন করা হয়। সিম হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে নতুনভাবে সিম গ্রহণকে বলা হয় সিম পুনঃস্থাপন।
এয়ারটেলের চিফ অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আশরাফ এইচ চৌধুরী বলেন, থ্রিজির জন্য অপারেটররা চার হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বাজেটে যে ধরনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তাতে থ্রিজি নেটওয়ার্কের বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে।
গ্রামীণফোনের পরিচালক ইশতিয়াক হাসান চৌধুরী বলেন, আমদানি করা মোবাইল সেটের ওপর কর না কমালে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা শামসুদ্দিন আহমেদ এবং সিটিসেলের পক্ষ থেকে নিশাদ আলী খান।
বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হয় উল্লেখ করে কয়েকজন বক্তা বলেন, উচ্চহারে করারোপ এ খাতের অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে৷ মোবাইল অপারেটররা তাদের ১০০ টাকা আয়ের ৫৫ টাকাই সরকারকে দিয়ে থাকে৷ এর পরও প্রস্তাবিত বাজেটে আরও বেশি করারোপ করা হয়েছে৷