সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফখরুজ্জামান চৌধুরী আর নেই

ফখরুজ্জামান চৌধুরী
ফখরুজ্জামান চৌধুরী

বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন), বিশিষ্ট লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফখরুজ্জামান চৌধুরী আর নেই। গতকাল রাত নয়টায় রাজধানী উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। ফখরুজ্জামান চৌধুরী বিশিষ্ট নাট্যাভিনেত্রী দিলারা জামানের স্বামী এবং প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও বিনোদন সাময়িকী ‘সাপ্তাহিক চিত্রালী’র সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরীর বড় ভাই।
প্রথম আলোকে দিলারা জামান বলেন, ‘তিনি দীর্ঘ দিন ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি (সিওপিড) রোগে ভুগছিলেন। রোগটি ধরা পড়ার পর শুরুতে দেশের বাইরে চিকিত্সা করানো হয়। গত এক বছর ঢাকায় চিকিত্সাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে গতকাল তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। সবাই তাঁর বিদেহী আত্মার মাগরািত কামনা করবেন।’
সাহিত্যে অবদানের জন্য লেখক, অনুবাদক ও প্রবীণ এই সাহিত্যিক বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। সাহিত্যিক হিসেবে ষাটের দশক থেকে তিনি বিশ্বসাহিত্যের বহু সাড়া জাগানো গ্রন্থ অনুবাদের পাশাপাশি শিশুসাহিত্য, গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, রম্যরচনাসহ নানাবিধ বিষয়ে লেখালেখি করেছেন।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য ফখরুজ্জামান চৌধুরী অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— ‘অঙ্কুশ ঐরাবত’, ‘রিপভ্যান উইঙ্কেল’, ‘আনাবাজ’, ‘দূরদিগন্ত’, ‘প্যালেস্টাইন প্রতিরোধের কবিতা’, ‘জনারণ্যে কয়েকজন’, ‘একা ও একাকী’, ‘লেখকের কথা’,  ‘হাড় কিপটে বুড়ি’, ‘রাজা আর্থারের দরবারে’, ‘যাদুর রাজা হুডিনি’, ‘আঙ্কল টমস কেবিন’, ‘রবিনসন ক্রুশো’, ‘হাঞ্চ ব্যাংক অব নটর ডেম’, ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’, ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’, ‘হে দুঃখ বিদায়’, ‘বিকিকিনির প্রেম’। তাঁর সর্বশেষ লেখা গ্রন্থটির নাম ‘হিরোশিমার অগ্নিশিখা’।