ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা মহানগরের ৩২১ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তার তালিকা ঢাকা সিটি করপোরেশনে পাঠিয়েছে। সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আজ রোববার সংসদে নুরুল ইসলামের (সুজন) এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল চারটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লার প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, ঢাকা শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে বর্তমান সরকার ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা মহানগরের ১০টি অঞ্চলে ১০ হাজার ভিক্ষুকের ওপর জরিপ করা হয়। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৩৭ জন ও জামালপুর জেলায় ২৯ জনকে রিকশা, ভ্যান, ও ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি বিতরণের মধ্য দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে বিদেশিদের চলাচল বেশি, এমন এলাকাকে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, হোটেল রেডিসন, বেইলি রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকা। এসব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকের অনুমোদনের মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের পরিসংখ্যান নেই
রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী জানান, দেশের শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের পরিসংখ্যান সমাজসেবা অধিদপ্তরে নেই। তবে বাংলাদেশে ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী শনাক্তকরণ জরিপ শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫৯ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই জরিপ চলমান আছে।