প্রাথমিকের শিক্ষক দিয়ে মাধ্যমিকের পাঠদান

চট্টগ্রাম জেলার ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম পঞ্চম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো এসব বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়নি। বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সংযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক দিয়ে দুটি শ্রেণিতে পাঠদান করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এসব শিক্ষকের কারও মাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠদানের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এমনকি তাঁদের কোনো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। শুধু শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এসব শিক্ষককে দিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম এক নয়। মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এখনো এসব বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়নি। আপাতত বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সংযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পাঠদান চালানো হচ্ছে। এসব শিক্ষকের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। সেগুলোতে এ বছর সপ্তম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরে আরও ছয়টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের পরিধি বাড়ানো হয়।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির জন্য চারজন করে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য দুজন করে বিএড শিক্ষককে সংযুক্তির মাধ্যমে নিয়োগের বিধান রয়েছে।