জলকপাট খুলে দেওয়ায়...

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড় কালিয়া গ্রামের নবগঙ্গা নদীর জলকপাটটি (স্লুইসগেট) খুলে দেওয়ায় চারটি বিলের প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ফসল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। মাছ ধরতে দুর্বৃত্তরা রোববার ভোরে জলকপাটটি খুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এলাকার চার হাজার কৃষক পরিবার বিপাকে পড়েছে। বড় কালিয়া গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী সমশের মোল্যা জানান, উপজেলার হাড়িডাঙ্গা গ্রামের আব্বাস লস্করের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন লোক মাছ ধরার উদ্দেশে রোববার ভোরে জলকপাটের দুই পাশের বালির বস্তা সরিয়ে দেন। এতে বাগডাঙ্গা, কচুরডোপ, জোকারচর, ভক্তডাঙ্গা বিলের ২০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে যায়। এতে এলাকার প্রায় চার হাজার কৃষক পরিবার বিপাকে পড়েছেন। অনেকের রোপণ করা আউশ-আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে চারা রোপণ করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে আব্বাস লস্করের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি। ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় কালিয়া গ্রামের জলকপাটটি নবগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। গেটের উচ্চতার চেয়ে বিলের অবস্থানও বেশ নিচু। ফলে নদীর জোয়ারের পানি ঢুকলে ভাটায় তা নামতে পারে না। আর জলকপাটটিও অনেক পুরোনো। গেটের ডালায় মরিচা ধরেছে। গেটের ডালার চারটি স্ক্রুর দুটি অকেজো হয়ে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গেটটি যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সুনিল কুমার ভদ্র জানান, ছয় মাস আগে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে জলকপাট সংস্কার করা হয়েছে। কে বা কারা গেটের ডালা খুলে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেক সাইফুল্লাহ বলেন, মাছ ধরার আশায় এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী গেটের ডালা খুলে দেওয়ায় কৃষকেরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এতে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন হোসেন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।