সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪

সীতাকুণ্ডের হাতিলোটা মোড়ে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায় যান দুটি। এতে এক নারীসহ চারজন নিহত হন। ছবি: ফোকাস বাংলা
সীতাকুণ্ডের হাতিলোটা মোড়ে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায় যান দুটি। এতে এক নারীসহ চারজন নিহত হন। ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা রাস্তার মাথা এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাসচালক নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার মতি মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৩০), ট্রাকচালক বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ডিমশহর গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে ওবায়দুল (৩২), বাসযাত্রী চট্টগ্রাম নগরের এনায়েতবাজার এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের স্ত্রী জরিনা বেগম (৫৮) ও কক্সবাজারের নাজমুল হাসান (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শী আবদুস ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ইসরাত পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি যাচ্ছিল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে। হাতিলোটা রাস্তার মাথা এলাকায় ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে একই দিকে যাওয়া একটি বাসকে অতিক্রম করতে গেলে সামনে থেকে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

নিহত জরিনার ছেলে ওই বাসের অপর যাত্রী মো. হূদয় (৩০) বলেন, মাকে নিয়ে চট্টগ্রামের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথেই চোখের সামনে তাঁর মা মারা গেলেন। কিছুক্ষণ তিনি তাঁর মায়ের নাম মনে করতে পারছিলেন না।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ঘটনার এক ঘণ্টা পর প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আরও ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। আহত লোকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবুল বাশার জানান, দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। তাঁদের অভিভাবকেরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি আনলেই লাশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে।