সেই জসিম মুক্তি পেলেন

জসিম উদ্দিন
জসিম উদ্দিন

চট্টগ্রামে পুলিশের ভুলে বিনা অপরাধে কারাভোগকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জসিম উদ্দিন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. জাকির হোসেন আদেশ দেওয়ার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। আদালত এ ঘটনায় জেলার লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
গতকাল সোমবার শুধু প্রথম আলোতে ‘পুলিশের ভুলে কারাবাস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ নাছের প্রথম আলোকে বলেন, নামের মিল থাকার কারণে পুলিশ ভুলে এক জসিমের স্থলে আরেক জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বাদীই শনাক্ত করেছেন গ্রেপ্তার জসিম এই মামলার আসামি নন। প্রকৃত আসামি ঘোরাফেরা করছেন। গতকাল সোমবার বাদী ও বিনা দোষে কারাভোগকারী জসিমের উপস্থিতিতে আদালত শুনানি করে তাঁকে মুক্তির আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, পুলিশ যাচাই-বাছাই না করে আসামি গ্রেপ্তার করায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, পুলিশকে আরও সতর্ক হতে হবে। লোহাগাড়া থানার ওসি এ বিষয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। এ বিষয়ে ওসিকে কারণ ব্যাখ্যা দিতে হবে আদালতে।
এদিকে আদেশ শোনার পরপরই আসামির কাঠগড়ায় থাকা জসিম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলতে থাকেন, তাঁর জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া আটটি দিন কে ফিরিয়ে দেবে?
লোহাগাড়া উপজেলার পারভীন আক্তার নামের এক নারী গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আবুল কাশেমের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ পরোয়ানা মূলে লোহাগাড়া থানার এএসআই শেহাব উদ্দিন সেলিম গত ৩১ আগস্ট লোহাগাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।