একটি অভিযোগপত্রে বাদীর নারাজি আবেদন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুরে আওয়ামী লীগের মিছিলে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া আরেকটি হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেছেন বাদী। আজ বৃহস্পতিবার বিচারিক হাকিম কুদরত এলাহীর আদালতে এ আবেদন করেন ফারুক হত্যা মামলার বাদী জিয়াউল হক। আদালত আগামী ২০ অক্টোবর আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

গত বছরের ১১ এপ্রিল ভূজপুরে তাণ্ডবের সময় পিটিয়ে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে। এছাড়াও তাঁদের বহরে থাকা দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল, ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি, পাঁচটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার, তিনটি পিকআপ ও চারটি চাঁদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আহত হন দলের শতাধিক নেতা-কর্মী।

এ ঘটনায় নিহত তিন ব্যক্তির পরিবার, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি করা হয় ১৬ হাজার ৪৭১ জনকে। এর মধ্যে ৪৭১ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়।
গত ১১ জুন ভূজপুর থানা পুলিশ তিনটি হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে আদালতে। এর মধ্যে রুবেল হত্যা মামলায় গত ২১ জুলাই আদালতে তাঁর মামা জামাল পাশা শওকত নারাজি আবেদন করেন । সর্বশেষ আজ ফারুক হত্যা মামলায় নারাজি আবেদন করা হয়।
জেলা কোর্ট পরির্দশক উনু মং প্রথম আলোকে জানান, ভূজপুর থানার ফারুক হত্যা মামলায় নারাজি আবেদন করেছেন বাদী। আদালত তা শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী নারাজি আবেদনে উল্লেখ করেন, পুলিশ প্রকৃত আসামিদের অভিযোগপত্রে আসামি না করে অন্যদের আসামি করে। এ ছাড়া যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যাবে না।
জানা গেছে, স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে—মসজিদের মাইকে এ গুজব ছড়িয়ে আসামিরা এ তাণ্ডব ঘটায় বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে ভূজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমির শফিউল আলম নুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম মেম্বারসহ ২০ জনকে। এই ২০ জনসহ ফারুক হত্যা মামলায় ১৯২ জনকে আসামি করে পুলিশ।