অপহরণের ১৬২ দিন পর মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

রাঙামাটিতে অপহূত হওয়ার ১৬২ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৩৫ জন সদস্য। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছান বলে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তি এবং তাঁদের আত্মীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে। তবে তাঁদের সঙ্গে আরও ১৫ জন এখনো অপহরণকারীদের হাতে জিমিঞ্চ রয়েছেন।

মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার এবং ১৫ জন বাঘাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে গতকাল বিকেলে বাঘাইছড়ির উত্তর খাগড়াছড়ি গ্রামে গিয়ে আটজনের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁদের স্বজনেরা জানান, অপহরণকারীরা গত রোববার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার একটি স্থান থেকে মুক্তি দিয়েছে। তবে তাঁরা কীভাবে বা কিসের বিনিময়ে মুক্তি পেলেন, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।

৩৫ জনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

ইউপিডিএফের তথ্য বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, অপহরণকারীরা মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে ৩৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। আর জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচারবিষয়ক সহসম্পাদক সজীব চাকমা বলেন, ‘৩৫ জনের মুক্তির খবর আমরাও পেয়েছি। তবে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’

জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল বলেন, ৩৫ জনের মুক্তি পাওয়ার কথা তিনি জানেন। বাকি ১৫ জনের মুক্তির বিষয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে রাঙামাটি থেকে বাড়ি ফেরার পথে লংগদুর কাট্টলি এলাকা থেকে ৬২ জনকে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। পরে দুর্বৃত্তরা নয়জন নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে মুক্তি দেয় এবং একজন পালিয়ে আসেন। ১৯ জুলাই মুক্তি পান আরও দুজন। সর্বশেষ গত রোববার ৩৫ জন মিলিয়ে মোট ৪৭ জন মুক্তি পেলেন।

অপহরণের এ ঘটনায় পার্বত্য অঞ্চলের আরেক আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জনসংহতি সমিতি। তবে ইউপিডিএফ শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।