রুটি-রুজির পথ বন্ধ

জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ব্রেইল মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। সেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মতিউর রহমান l প্রথম আলো
জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ব্রেইল মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। সেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মতিউর রহমান l প্রথম আলো

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী কুশাইকুড়া গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মতিউর রহমান (৪৮) নয় বছর আগে বহু কষ্টে একটি ব্রেইল মেশিন কিনেছিলেন। সেটি দিয়ে এত দিন তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের বাংলা, ইংরেজি ও আরবি শিক্ষা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ব্যবহারে যন্ত্রটি অকেজো হয়ে গেছে। মতিউরের উপার্জনের একমাত্র পথটিও এখন বন্ধ। এতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন তিনি।
মতিউর বলেন, তাঁর নিজের জমি নেই। ভাইয়ের জমিতে ঘর তুলে থাকেন। ব্রেইল মেশিনটি দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পড়িয়ে যা আয় করতেন তা দিয়েই স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার চলত। তিনি আরও বলেন, খুলনায় অবস্থিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় যন্ত্রটি কেনেন মতিউর। সেটি নয় বছর টানা ব্যবহার করায় অকেজো হয়ে গেছে। এতে জীবিকার একমাত্র পথটিও বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর। কিন্তু একটি নতুন যন্ত্র কিনতে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এত টাকা তাঁর পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
সংশ্লিষ্ট নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মতিউর একজন দুস্থ মানুষ। জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ব্রেইল মেশিন তাঁর খুবই প্রয়োজন।