ছাত্রলীগের দুই পক্ষে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।


গতকাল শনিবার রাত একটা থেকে থেকে দেড়টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত সাত দিনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তিনবার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটল।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পালি বিভাগের শুভাগত বড়ুয়া, সমাজতত্ত্ব বিভাগের আকিব রাসেল। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত একটার দিকে ক্যাম্পাসে হঠাৎ একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) পক্ষের সঙ্গে চুজ ফ্রেন্ডস উয়িথ কেয়ার (সিএফসি) ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ওই গুলিবিনিময় চলে। ভিএক্স-কর্মীরা শাহজালাল ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে এবং সিএফসির-কর্মীরা আমানত ছাত্রাবাসের সামনে থেকে গুলি করতে থাকেন। এ সময় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সিএফসি ও ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর ফটকের দিকে চলে যান।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভিএক্সের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ এবং গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান। অন্যদিকে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন।


ভিএক্স-পক্ষের নেতা হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দারের অনুসারীরা শিবিরের যোগসাজশে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দার বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে অপরাজনীতি করছে তারাই এ কথা বলতে পারে। আমার কোনো অনুসারী নেই, আমরা সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনারই অনুসারী।’


সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগপক্ষের নেতা অমিত কুমার বসু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হয়তো তাঁদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

পুলিশের হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ অন্তঃকোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা গুলির শব্দ শুনেছি। আমরা কী কারণে ঘটনা ঘটছে তা তদন্ত করছি।’