ছুটিতে নগরে বেড়ানো

ঈদের ছুটিতে বেড়ানো হবে না—এমনটা হতেই পারে না। সপরিবারে বা বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঘুরে এলে মনটাও ফুরফুরে হয়, ছুটিটাও উপভোগ করা যায়। তবে যাঁরা সময়ের অভাবে দূরে কোথাও যেতে পারেন না, তাঁদের জন্য নগরেই রয়েছে নানা ব্যবস্থা। ছুটির এক দিনের পড়ন্ত বিকেল কাটাতে পারেন নৌবিহারে। আর এই ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে ওয়েস্টার্ন ক্রজ।

ঈদ উপলক্ষে প্রমোদতরীটিতে ১০ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে ছয়টার ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ পড়বে এক হাজার টাকা। তবে ঈদের জন্য নৌভ্রমণে থাকছে ২০ শতাংশ ছাড়। ওয়েস্টার্ন ক্রজ অপেক্ষা করবে বিমানবন্দর সড়কের চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ঘাটে। ভোজনরসিকদের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। বোট ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় রিভার ভিউ রেস্তোরাঁয় বসে নদীর হাওয়ায় করা যাবে খাওয়া-দাওয়া।

একটু অন্য রকমভাবে দিনটা কাটাতে চাইলে সোজা চলে যান প্রজাপতি পার্কে। হরেক রকম প্রজাপতি দেখা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ছবি তোলা দুটোই হবে। তবে প্রজাপতি দেখার জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল সময় অর্থাৎ ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপযুক্ত সময়। হালকা খাওয়া-দাওয়া সারতে চাইলে পার্কের ভেতরেই রয়েছে ছোট্ট একটি রেস্তোরাঁ। এখানে টিকিট—জনপ্রতি প্রাপ্তবয়স্ক ১০০ টাকা ও বাচ্চা ৫০ টাকা। এ পার্কটি সাড়ে নয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ঘুরে আসা যায় সাগরপাড় থেকেও। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত তো রয়েছেই। অনেকে ভিড় এড়াতে এবং সাগর-নদীর মিতালি দেখতে চলে যান কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাট-সংলগ্ন নেভাল এলাকায়। উত্তাল হাওয়ায় গরম গরম পেঁয়াজু আর কাঁকড়া ভাজার মজাই আলাদা।

ফয়’স লেক কমপ্লেক্সেও রয়েছে সব বয়সী মানুষের জন্য বিনোদনের নানা ব্যবস্থা। এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কে রয়েছে নানা ধরনের রাইডস। রয়েছে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেইরিস হুইল, পাইরেট শিপ, কফিকাপ, বাগ বাউন্স, ট্রেন, দোলনা ইত্যাদি।

পিজিয়ন স্কোয়ারে কবুতরের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলেই দেখা যাবে লেকের সৌন্দর্য। বোট স্টেশন থেকে ইঞ্জিন বোটে ১০ মিনিটের পথ পেরোলেই রয়েছে ওয়াটার পার্ক সি-ওয়ার্ল্ড। কৃত্রিম সমুদ্রসৈকত বা ওয়েভ-পুলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেতে উঠতে পারেন জলকেলিতে। ওয়েভ-পুলের পাশেই ড্যান্সিং জোন। কৃত্রিম বৃষ্টি, নানা রঙের আলো আর মন মাতানো মিউজিকের তালে রয়েছে নাচার সুযোগ।

এ ছাড়া মাল্টি স্লাইড, ডোম স্লাইড, পে-জোনের মতো মজার সব রাইড। এখানে ঈদের ১০ দিন পর্যন্ত চলবে নানা রকম আয়োজন। ১৬ আগস্ট ঈদ কনসার্টে থাকবেন জেমস, রিংকু, নিশিতা বড়ুয়া। ওয়াটার পার্ক সি-ওয়ার্ল্ডে অনুষ্ঠিত হবে ডিজে শো।

ঈদ উপলক্ষে বড়দের জন্য ফয়’স লেকে প্রবেশ ও সব রাইডস, সঙ্গে পেপসি অথবা আইসক্রিম—খরচ পড়বে ৩০০ ও বাচ্চাদের জন্য ২২০ টাকা।

ফয়’স লেক হয়ে সিওয়ার্ল্ডে গেলে সব রাইডস যতবার খুশি ততবার, সঙ্গে আইসক্রিম অথবা পেপসি—খরচ পড়বে ৫৫০ আর কর্নেল হাট গেট দিয়ে প্রবেশ করলে ৩৯০ টাকা। ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও সি-ওয়ার্ল্ড খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।

ফয়’স লেকের পাশেই রয়েছে চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। এ ছাড়া জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, কর্ণফুলী শিশু পার্ক, কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক থেকেও ঘুরে আসা যায় বাচ্চাদের নিয়ে।