আদালত ওড়ানোর হুমকি: গ্রেপ্তার শ্যালক-দুলাভাই রিমান্ডে

জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) পরিচয়ে বোমা মেরে চট্টগ্রাম আদালত ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার শ্যালক ও দুলাভাইয়ের তিন দিনের রিমান্ড আজ সোমবার মঞ্জুর করা হয়েছে।

এই দুজন হলেন নাসির মোহাম্মদ (৪৫) ও তাঁর শ্যালক সালাউদ্দিন (২২)।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরের চকবাজার বাদুড়তলা এলাকা থেকে নাসির মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর শ্যালক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, শ্যালক ও দুলাভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাব উদ্দিন তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে তাদের একটি মামলা চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন। গত মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলার শুনানি পেছাতে জেএমবি পরিচয় দিয়ে আদালতে বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেন সরকারি কৌঁসুলি মানস পালের মোবাইল ফোনে। পরবর্তীতে ঘটনাটি গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ভয় পেয়ে যান নাসির। পরে তাঁর শ্যালক সালাউদ্দিনের মাধ্যমে মুঠোফোনটি নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের নালার মধ্যে ফেলে দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফতাব উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির সঙ্গে জেএমবির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তাঁদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

গ্রেপ্তার নাসির মোহাম্মদ আজ দুপুরে নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি জঙ্গি নন। জেএমবির সঙ্গে তাঁরে কোনো সম্পৃক্তা নেই। বাদুড়তলা এলাকায় তাঁর একটি ফোন-ফ্যাক্সের দোকান রয়েছে। দোকানে ফেলে যাওয়া এক গ্রাহকের মুঠোফোন থেকে তিনি জমি-সংক্রান্ত মামলার শুনানি পেছাতে জেএমবি পরিচয় দিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে জেএমবি পরিচয়ে হুমকির পর নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। পরে এই ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ। পরে জিডিকে মামলায় রূপান্তর করে নাসির ও সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।