'সৈনিক লীগ' নেতা খুনের ঘটনায় মামলা

বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়ার আহ্বায়ক শিমুল হক ওরফে রেহান (৩২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই দলের শহর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ সওদাগরকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে নিহতের মা হাজেরা বেগম বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় শিমুলসহ আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। মামলায় ওই সাতজন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. ফায়েজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি রাত ১০টার দিকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামিসহ যে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের পরপরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পাঁচজন হলেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ সওদাগর, তাঁর ভাই সোহান সওদাগর, সৈনিক লীগের কর্মী বিপুল হোসেন, রাহাত রিপন ও বেল্লাল হোসেন। গত শুক্রবার হত্যাকাণ্ডের পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করে। বগুড়ার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মিজানুর রহমানের দাবি, আটকের পরপরই সবুজ সওদাগর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে শহরের সাতমাথার টেম্পল সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভেতর নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাতে খুন হন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা শিমুল হক। দলীয় কোন্দলের কারণেই তিনি খুন হয়েছেন বলে পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। নিহত শিমুল হকের বাড়ি গাবতলী উপজেলার মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামে হলেও তিনি শহরের মালতীনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় ওই কার্যালয়টি তালাবদ্ধ রয়েছে। গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্ধারিত বর্ধিত সভাও দলীয় কার্যালয়ে হয়নি। শহরের চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বর্ধিতসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। কাজেই ওই সংগঠনের নামে কেউ খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়লে তার দায়ও দল নেবে না।

আরও পড়ুন: