মূল হোতারা গ্রেপ্তার হয়নি বাদীকে হুমকির অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ ফুলছড়ি গ্রামের মিজানুর রহমানকে হত্যার পর তিন মাস পেরোলেও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মিজান হত্যার মূল হোতারা মামলা তুলে নিতে বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই দুপুরে উপজেলার খুটাখালী বাজারে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়। পরে ৩ জুলাই মিজানের ছোট ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ নম্বর আসামি বাহাদুল করিম, ১৪ নম্বর আসামি জালাল আহমদ ওরফে জুলু মেম্বার, ১৬ নম্বর আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তার এই তিন আসামি ইতিমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী মুজিবুর রহমান বলেন, হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত একজন আসামিকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো মিজান হত্যার মূল হোতারা মামলা তুলে নিতে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করছে। হুমকির ঘটনায় সাত আসামির বিরুদ্ধে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, মিজান হত্যা মামলার ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, বাদীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত মিজানের মা শাহিন আকতার (৪৫) বলেন, ‘ছেলেটাকে নির্মমভাবে হত্যা করলেও পুলিশ মূল হত্যাকারী আনিস, মিজান, বকুল, আকতার, শাহজান, রিদুয়ান, জিয়াবুল, রফিক, জুবাইরসহ কাউকেই তো গ্রেপ্তার করতে পারল না। উল্টো আসামিদের ভয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছে না আমার পরিবারের লোকজন। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
তবে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, পুলিশ বসে নেই। আসামিরাও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে আসামিদের মধ্যে কে কোথায় আছে, সেটি শনাক্ত করে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।