গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার সময় শিবির নেতাসহ আটক ৪

জামায়াতের ডাকা হরতালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আজ সোমবার ভোর ছয়টার দিকে একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের চেষ্টা করার সময় শিবির নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সাড়ে আটটার দিকে তেজগাঁও এলাকা থেকে তিনটি পরিত্যক্ত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকরের ভাষ্য, যাত্রাবাড়ীতে ৮-১০ জনের একটি মিছিল থেকে অটোরিকশা ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় পুলিশ রোকনুজ্জামান (২২) নামের একজনকে আটক করে। রোকনুজ্জামান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। তাঁর তথ্য অনুসারে পুলিশ বিবিরবাগিচার একটি বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে আরও তিনজনকে আটক করে। তাঁরা হলেন কাজলা ইউনিয়নের শিবির সভাপতি হাবিবুল্লাহ (২৫), নোমান (২৩) ও নাহিদ (২২)। তাঁদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি অবনী শংকর আরও জানান, আটক চারজনকে যাত্রাবাড়ী থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব সরকারের ভাষ্য, সকাল সাড়ে আটটার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় লাভরোড সড়কের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে যায়।

জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতালে আজ রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফার্মগেট, ১০ নম্বর গোল চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন রাস্তায় বাস, অটোরিকশা, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। অন্য হরতালের চেয়ে আজ রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চলছে। দোকান বা বিপণিবিতান এখনো বন্ধ আছে। প্রায় একই চিত্র চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভাগীয় ও বড় জেলা শহরগুলোতে।
গতকাল রোববার ভোর ছয়টা থেকে এই হরতাল শুরু হয়েছে। চলবে কাল মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বুধবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এই রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেয় জামায়াত।
প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ছিল। ওই দিনের হরতাল ছিল ঢিলেঢালা। গতকাল ভোর ছয়টা থেকে চলছে দ্বিতীয় দফার হরতাল।
জামায়াতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবারও হরতাল ডেকেছে জামায়াত।