মৃধাকে বাদ দিয়ে আরও দুই মামলায় অভিযোগপত্র

রেলে নিয়োগে দুর্নীতির আরও দুই মামলায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) জি এম ইউসুফ আলী মৃধাকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রেলের লোকো মাস্টার ও কোর্ট পরিদর্শক পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরীর আদালতে অভিযোগপত্রগুলো জমা দেয় দুদক।
এর আগে গত ২৯ জুন রেলের রেকর্ড কিপার ও গুডস সহকারী গ্রেড-২ পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিল দুদক। এ নিয়ে মোট চারটি মামলায় মৃধাকে বাদ দিল দুদক। মৃধা বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ছয়টি মামলার বিচার চলছে। দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে আরও ছয়টি মামলা।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্চিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে টাকার বস্তাসহ আটক হন মৃধা।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বাদ দিয়ে লোকো মাস্টার পদে নিয়োগের দুর্নীতির মামলায় ৩২ জন এবং কোর্ট পরিদর্শক পদে নিয়োগের মামলায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রশিদ বলেন, দুদক অনেক যাচাই-বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদন নিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুর্নীতির ঘটনার মামলা দায়ের করে থাকে। এজাহারে থাকা প্রধান আসামিকে বাদ দেওয়া রহস্যজনক।
অভিযোগপত্র দুটির শেষের দিকে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ঘটনার পর তদন্ত কমিটির প্রধান রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক শামসুজ্জামান নিয়োগগুলো অনুমোদনকারী হিসেবে মৃধাকে দায়ী করেছেন। কিন্তু পরে শেষের দিকে এসে সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় মৃধাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় দুদকের তদন্তে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, মৃধার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে কিছুই পাওয়া যায়নি। গোলাম কিবরিয়া ও কলেজশিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা ঘষামাজা করে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের উত্তীর্ণ দেখানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
একইভাবে রেলে নিয়োগে কোর্ট পরিদর্শক পদেও দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্রে মৃধার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।