স্বেচ্ছাসেবক লীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে আহত ১০

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বুধবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষ কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এতে রাস্তার উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলাকার অনেকে ও পুলিশ জানায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবায়েদুর রহমান কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পৌরসভার মডেল টাউনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় দারোয়ান আজাদ তাঁদের বাধা দেন। পরে এবায়েদুরের লোকজন দারোয়ানকে মারধর করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মডেল টাউনের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে এবায়েদুরের বাগিবতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষ কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের আল-কাউছার স্কুলের সামনে বোতল, ইট, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষের কারণে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সড়কের ওপর টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।

রাত নয়টার দিকে গাজী বিল্লালের পক্ষকে হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের গাজী ও আমির হোসেন সড়ক থেকে সরিয়ে নেন। এরপর পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে এবায়েদুরের লোকজন রাস্তা থেকে সরে যান। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজী বিল্লাল জানান, মডেল টাউন এলাকায় এবায়েদুর তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে নানা অনৈতিক কাজ করেন। দারোয়ান বাধা দিলে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন।

এবায়েদুর রহমান বলেন, ‘সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে শিবিরের লোকজনসহ বিল্লাল আমাদের সঙ্গে বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।