বিজয়ের আনন্দে ভাসল দেশ

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কুচকাওয়াজ, তোপধ্বনি, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ৪৪তম বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
মানিকগঞ্জ: সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল নয়টায় শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি শিশু পরিবার এবং প্রতিবন্ধী শিশুরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এদিকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ: সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরের চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুরু হয়। তোপধ্বনি শেষে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞা। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান ও পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। সকালে নারায়ণগঞ্জ ওসমানী স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সিগঞ্জ: শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লেখা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথম প্রহরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল আটটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা স্টেডিয়ামে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কুচকাওয়াজ ও কসরত। বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা পরিষদের উদ্যোগে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিকেলে মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা হয়। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।