সড়কে অসংখ্য গর্ত, দুর্ভোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় থেকে সিংড়ার বিলদহর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে ইটের সুরকি বের হয়ে গেছে। ফলে সড়কে ছোটবড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুটি উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

গুরুদাসপুরের দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওমর আলী বলেন, সড়কটি পাকা হওয়ার পর উপজেলার বিয়াঘাট, খুবজীপুর ইউনিয়ন ও সিংড়া সদর, ডাহিয়া, আয়াস, বিয়াসসহ ছয়টি ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জিকরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই সড়কটি সংস্কারের জন্য দুই দফায় ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অচিরেই এর কাজ শুরু হবে। তবে আবার মেরামতের জন্য সড়কটি রাজশাহী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

সওজ বিভাগের নাটোর কার্যালয় সূত্র জানায়, আশির দশকে অকালবন্যার কবল থেকে চলনবিলের ফসল রক্ষার জন্য আত্রাই নদীর তীর ঘেঁষে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে এ সড়কটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০০০ সালের দিকে সেটি সওজ বিভাগের আওতায় নিয়ে পিচঢালাই করা হয়। এতে গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এ ছাড়া চলনবিলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় এলাকায় নন্দকুঁজা নদীর তীর থেকে সড়কটি শুরু হয়েছে। সেখানে যাত্রী বহনের জন্য গড়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির চাঁচকৈড় খলিফা পাড়া, খলিফা পাড়া স্কুল, রাবারড্যাম, স্লুইসগেট, দুর্গাপুর বাজার ও সিংড়ার বলিদহর কবরস্থান এলাকায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সড়কটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

জেলা সিএনজিচালিত অটোটেম্পো চালক ও মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। এ কারণে গাড়ি চালাতে গেলেই ঘন ঘন ব্রেক করতে হয়। এতে গাড়ির টায়ারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যাতায়াতের সময়ও বেশি লাগছে।

অটোটেম্পোচালক আবুল বলেন, মাঝেমধ্যে গাড়ি গর্তে পড়ে যায়। ভাঙা রাস্তায় চলার সময় প্রায়ই রিকশা ও রিকশাভ্যানের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুদাসপুরের একটি কলেজের শিক্ষক মাজেম আলী বলেন, সম্প্রতি বিলদহর গ্রামের একটি পরিবার একবার রিকশাভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে একটি অটোটেম্পোকে পাশ কাটাতে গিয়ে সেটি উল্টে পড়ে। এতে ওই পরিবারের চারজন সদস্যই আহত হয়।