মাদক নির্মূলে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিন: এরশাদ

ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের চিরতরে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এরশাদ এ আহ্বান জানান। দেশে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ ব্যবহার ও বিস্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘আমার দীর্ঘ নয় বছরের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতায় মনে করি, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মাদকমুক্ত করতে হলে অবিলম্বে সেনাবাহিনীকে এই দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সেনাবাহিনী ছাড়া আর কারও পক্ষে দেশকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই মাদকের ব্যবহার বন্ধ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে অবিলম্বে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে এরশাদ আশা প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের নির্মূল করে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এবং অভিভাবকেরাও শঙ্কামুক্ত হতে পারবেন।

এরশাদ বলেন, এই মুহূর্তে মাদকের ব্যবহার দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের চেয়েও ভয়াবহ সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের সমাজ ও ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে এক ভয়াবহ বিপর্যয় ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতির কিছু ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজনও জড়িত। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিবিদেরা যারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁরা কেউই এ বিরাট সমস্যাটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি না। এ অবস্থায় প্রশ্ন জাগে, তাহলে এ ভয়াবহ সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব?’

এ প্রসঙ্গে এরশাদ থাইল্যান্ডের নাম উল্লেখ করে বলেন, একসময় থাইল্যান্ডেও ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সে দেশের সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। প্রায় তিন হাজার ইয়াবাসেবী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীকে নির্মূল করার পর থাইল্যান্ড এখন ইয়াবামু্ক্ত।’