লিখিত দিলে আলোচনা: এইচ টি ইমাম

এইচ টি ইমাম
এইচ টি ইমাম

বিএনপি জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকবে না—এমন লিখিত খত দিলেই তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও সাফল্যের এক বছর’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বিএনপি ভালোভাবে নিবেদন করলে আলোচনা হতে পারে। তবে আততায়ীর বা দুষ্কৃতীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না। বিএনপিকে লিখে দিতে হবে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে, সন্ত্রাসের সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই এবং থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধানের মধ্যেই অনেক কিছু সংযোজন করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা এবং তাদের আরও ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। সংবিধানের মধ্যে থেকেই আলোচনা হলে হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘সরকার যখন ইচ্ছা তখন নির্বাচন দিতে পারে। সেটা চার বছর পরেও হতে পারে তার আগেও দিতে পারে। কিন্তু এটি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনে আসেননি। এই ভুলটা করার পরে তারা নিজেদের চুল নিজেরাই ছিড়ছেন। আর তার আক্রোশ ঝাড়ছেন আওয়ামী লীগ ও জনগণের ওপর। আপনাদের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত জনগণ দেবে না, আমরাও দেবো না।’
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আদালত সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। তাই চিন্তা করতে হবে আমরা বিএনপিকে অবৈধ ঘোষণা করব কিনা। কারণ অবৈধ সরকারের সবই অবৈধ। তাহলে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিও অবৈধ।’ তিনি তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর সরকারের চাপ দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে তারা কী উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় থাকবেন নাকি আবার আগের অস্বস্তিকর স্থবির যুগে ফিরে যাবেন। তারা বাংলাদেশকে একটি শান্তির দেশ হিসাবে দেখতে চায় নাকি একটি জঙ্গিবাদী অকার্যকর রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিত হতে চায়। তিনি বলেন, সরকারের সামনে এখন একাধিক বড় চ্যালেঞ্জ। এগুলোর মধ্যে আছে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার সব ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা এবং যুদ্ধারাধীদের শাস্তি বাস্তবায়ন করার কার্যকর ব্যবস্থা করা। পথ নিঃসন্দেহে দীর্ঘ। তবে জনগণের ওপর আস্থা ধরে রাখতে পারলে এই দীর্ঘ পথ পারি দেওয়া কঠিন নয়।
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবেদ খান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বাবু। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।