জরাজীর্ণ ভবনে চলছে তিন বিচারিক হাকিমের আদালত

বরগুনা শহরের জেলা জজ আদালতের পশ্চিম পাশে একটি জরাজীর্ণ একতলা ভবনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে তিনজন বিচারিক হাকিমের আদালত। অপরিসর এসব কক্ষে আইনজীবীদের বসার মতো অবস্থা নেই। এ ছাড়া বিচারপ্রার্থীদের বসার ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণের পর বরগুনার সাবেক মুনসেফ আদালত ভবনে বিচারিক হাকিমদের আদালত স্থাপন করা হয়। প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো ৪ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের একতলা জরাজীর্ণ এই ভবনে কক্ষ আছে তিনটি। এরমধ্যে দুটিতে এজলাস বসে। আরেকটি দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে বরগুনা সদর, বামনা ও বেতাগী এই তিন উপজেলার বিচারিক হাকিমদের এজলাস বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ভবনটির ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শওগাতুল আলম বলেন, চারটি এজলাস এবং দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা রাস্তায়, গাছতলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন। এমন কি অনেক সময় হাজিরার ডাক পড়লে অনেকে শুনতেও পান না। কক্ষগুলো অপরিসর হওয়ায় আইনজীবীদেরও বসার কোনো চেয়ার নেই। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে কোনো রকমে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়।
আইনজীবী দারুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মামলা পরিচালনা করতে হয়। ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় সবাই দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন।
বিচারপ্রার্থী সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের আবদুল খালেক গাজী ও একই উপজেলার তুলশীবাড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খান বলেন, মামলাসংক্রান্ত কাজে প্রায়ই তাঁকে আদালতে যেতে হয়। কিন্তু আদালত ভবনে জায়গা কম থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।
বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি বলেন, বিচারিক হাকিম আদালত ভবন নির্মাণের জন্য জমি নির্বাচন করা হয়েছে। এ জন্য এক একর জমি গণপূর্ত বিভাগকে অধিগ্রহণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবন নির্মাণের জন্য কোনো বরাদ্দ অনুমোদন হয়নি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত এর কাজ শুরু করা হবে।