চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে মিছিল, সমাবেশ হয়নি

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল পালিত হয়েছে। নগরে হরতালের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ হয়নি।
গতকাল নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবন পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। সেখানে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায়নি। নগরের অন্য কোথাও হরতালের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ হয়নি।
হরতালে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। মহাসড়কে ট্রাক চলাচলও কম ছিল। ট্রেন চলাচল করলেও সময়সূচি এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় যাত্রী কমেছে। নগরে গণপরিবহন চলাচল করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করলেও সংখ্যায় ছিল কম। বড় বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘হরতালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সীতাকুণ্ড থেকে ১৯ জনকে আটক করে। তাঁরা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পুলিশ সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, লোহাগাড়া ও পটিয়া থেকে আরও ১০ জনকে আটক করে। গত বুধবার দিবাগত রাতে তাঁদের আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘বুধবার রাতে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার দুজন চলতি সপ্তাহে দুটি গাড়ি পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া গাড়ি পোড়ানোর জন্য অর্থের জোগানদাতাদের নাম-ঠিকানাও আমরা পেয়েছি।’