কাজ শেষ হওয়ার চার মাস পর ভিত্তিপ্রস্তর

চুয়াডাঙ্গা শহরের নূরনগর এলাকায় অবস্থিত জেলা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। একই এলাকায় জেলার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় ৭৫ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. আহাদ আলী সরকার।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার উপযোগী করে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত যুবসমাজ গড়তে এই স্টেডিয়াম ভূমিকা রাখবে। জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেকার যুবদের সম্পৃক্ত করায় এই যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভূমিকা রাখবে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যাতে ফেনসিডিলের ভাগাড় না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে দেরিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী কোনো কথা বলেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুটি স্থাপনা নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধানকারী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই স্টেডিয়ামের জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী তদারকি করেছেন। সময়ের অভাবে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী এক দুই মাসের মধ্যে এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করবেন। তার আগে নির্মাণ যথাযথ হয়েছে কি না মন্ত্রী তা দেখতে এলেন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। একই সঙ্গে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করলেন।
এর আগে স্টেডিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৭ কোটি ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামের কাজ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সম্পন্ন হয়েছে।
একইভাবে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণকাজের ৭৫ শতাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক মাসুম আহমেদ।