মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধের আহ্বান

বাসে মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি-সমর্থিত পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সমন্বিত পেশাজীবী পরিষদ। সংগঠনটি সরকারকেও বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে অর্থবহ সংলাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

দেশব্যাপী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গতকাল শহীদ মিনারে প্রতিরোধ সমাবেশ করে। সমাবেশে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় l ছবি: প্রথম আলো
দেশব্যাপী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গতকাল শহীদ মিনারে প্রতিরোধ সমাবেশ করে। সমাবেশে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় l ছবি: প্রথম আলো

গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই দাবি জানায়। সংগঠনটি দ্রুত একটি অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে সংকট উত্তরণ ও নির্বাচনের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০-দলীয় জোটের নতুন নির্বাচনের দাবি কোনো অন্যায় দাবি নয়। বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে তাকে রাজনৈতিক সংকট হিসেবে দেখতে হবে। একে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সরকার ও বিরোধীপক্ষকে এখন এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যেন রাজনৈতিক সংলাপ সম্ভব হয়। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে এই সংলাপ শুরু করতে হবে।
প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলা হচ্ছে। সরকার বলছে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। তাহলে যারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় আছে তারা কী? তিনি বলেন, এখন অর্থবহ সংলাপ হতে হবে। মানুষকে সংকট থেকে মুক্তি দিতে হবে। এ জন্য দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারাও বন্ধ হতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন, সংলাপের উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। এটাই নিয়ম। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করছে তারা কারা; তা খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যেখানে সহিংসতা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে সরকারের বাহিনী কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। পরে অন্য জায়গা থেকে ধরছে। এ কারণে কারা জড়িত, তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সদরুল আমিন ও আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।