পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় তিনজনকে গণপিটুনি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার চেষ্টার অভিযোগে গতকাল শনিবার ছাত্রশিবিরের নেতাসহ তিনজনকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওই তিনজন হলেন ফতুল্লার নবীনগর এলাকার মোহাম্মদ মোতালেব মিয়ার ছেলে ও ফতুল্লা থানা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন ওরফে শিহাব (১৯); রেলস্টেশন এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. মাহমুদ (২৫) এবং সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার মান্নান গাজীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৫)। মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ১০ থেকে ১৫ জন নাশকতাকারী বেলা একটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের ফতুল্লার কাশীপুর দেওয়ানবাড়ি এলাকায় ঢাকাগামী দীঘিরপাড় পরিবহনের একটি বাস ব্যারিকেড দিয়ে গতি রোধ করেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা দিয়ে বাস ভাঙচুর করেন ও পেট্রলবোমা ছোড়ার চেষ্টা করেন। আতঙ্কে গাড়ির যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন ধাওয়া দিয়ে তিন নাশকতাকারীকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে একটি ব্যাগে পাঁচটি পেট্রলবোমা ও কিছু গানপাউডার উদ্ধার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। আহত তিনজনকে নগরের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ জানান, শিহাব ফতুল্লা থানা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুজনও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তিন নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।