সাত মামলার অভিযোগপত্রে নাম নেই প্রধান আসামিদের

বৌদ্ধপল্লিতে হামলা
বৌদ্ধপল্লিতে হামলা

কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, সদর ও টেকনাফ উপজেলায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বৌদ্ধমন্দিরে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় করা সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ওই সব ঘটনা ও মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান ব্যক্তিদের নাম অভিযোগপত্রে নেই। এতে করে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।কক্সবাজার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মিজবাহ উদ্দিন জানান, গত রোববার উখিয়ার দুটি, রামুর একটি ও সদর উপজেলার দুটি মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ওই পাঁচটি অভিযোগপত্রে নাম আছে ১৫২ জনের। এ ছাড়া গতকাল সোমবার সকালে টেকনাফের দুটি মামলায় আরও ১১২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই সাতটি মামলায় যাঁরা প্রধান আসামি ছিলেন, তাঁদের নাম অভিযোগপত্রে নেই।অনুসন্ধানে জানা গেছে, উখিয়ার দুটি বৌদ্ধমন্দিরে অগ্নিসংযোগের মামলায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরীসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছিল।টেকনাফের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় অভিযুক্ত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের নেতা নুর আহমদ আনোয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ বাহাদুরসহ অনেকের নাম ছিল। অভিযোগপত্রে এঁদেরও নাম নেই। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কিছু লোক খরুলিয়া মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় দুটি মামলায় ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধি নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজাদ মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়েছিল। গত দুই দিনে যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ছোটখাটো ঘটনার মামলা। তাই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের নাম এসেছে। রামু ও উখিয়ার প্রাচীন বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা আরও ১২টি মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বঙ্কিম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ১১ মাস পর এখন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু যাঁদের নাম এসেছে, সবাই অপরিচিত। এতে যে কেউ হতাশ হবেন।