কুয়াকাটা-সংলগ্ন সাগরে অবাধে হাঙর শিকার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবাধে হাঙর শিকার করা হচ্ছে। সৈকতের বালুচরে হাঙরগুলো কাটার জন্য ফেলে রাখা হয়েছে। ছবিটি গত মঙ্গলবার বিকেলে তোলা l প্রথম আ​লো
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবাধে হাঙর শিকার করা হচ্ছে। সৈকতের বালুচরে হাঙরগুলো কাটার জন্য ফেলে রাখা হয়েছে। ছবিটি গত মঙ্গলবার বিকেলে তোলা l প্রথম আ​লো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবাধে হাঙর শিকার করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে হাঙর শিকার করে সেগুলো কেনাবেচা চলছে। শীত শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই ১০-১২টি হাঙর কোনো না কোনো জেলের জালে ধরা পড়ছে।
গত মঙ্গলবার কুয়াকাটা সৈকতে দেখা যায়, সৈকতের পশ্চিম দিকের খাজুরা গ্রাম-সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের বালুচরে অনেকগুলো হাঙর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। উপস্থিত জেলেদের একজন বললেন, স্তূপে ৬৫টি হাঙর রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে কুয়াকাটায় যান। তিনি বলেন, কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে শিকার করা হাঙরগুলো স্যান্ড টাইগার শার্ক জাতীয়। এদের বিরক্ত না করলে সাধারণত কাউকে আক্রমণ করে না। তিনি আরও বলেন, হাঙরের বংশবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় এর অস্তিত্ব এখন সংকটাপন্ন।
বাংলাদেশের মৎস্য সংরক্ষণ আইনে হাঙর শিকারে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২’-এর আওতায় বঙ্গোপসাগরের ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডকে’ হাঙর, ডলফিন, তিমি, সামুদ্রিক কচ্ছপ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষার্থে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক সুলতান আহমেদ বলেন, ‘হাঙর রক্ষায় সামুদ্রিক অনেক আইন আছে। তবে আমি মনে করি, বড় যেকোনো প্রজাতির মাছ হোক বা হাঙর হোক, প্রজননের জন্য তা সংরক্ষণ করা উচিত।’