চরফ্যাশন থানা ঘেরাও পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

ভোলার চরফ্যাশনে থানা ঘেরাও করে গত বুধবার রাতে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের ওপর পুলিশি হামলার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তাকে চরফ্যাশন থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় আক্তার হোসেনসহ তিন মোটরসাইকেল আরোহী চরফ্যাশন থানার সামনে দিয়ে বেতুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে চরফ্যাশন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রহমানকে ধাক্কা দেন। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, চরফ্যাশন অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার এইচ এম সোহাগ ও এএসআই মামুনুর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের হাসপাতালে নিতে গেলে চরফ্যাশন থানার এসআই রেজাউল হক, মাহমুদুল হকসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তা মিলে সোহাগ ও আক্তারকে বেধরক পিটুনি দিয়ে থানায় নিয়ে যান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চরফ্যাশন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
পরে চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হয়। একপর্যায়ে ভোলার বাকি ছয় উপজেলায় ছাত্রলীগ বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে রাত সোয়া একটায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভোলার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চরফ্যাশন থানার এসআই রেজাউল হক, মাহমুদুল হক ও এএসআই কবির হোসেনকে ভোলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।