সালাহউদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে আবেদন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯১ ধারায় আবেদনটি করা হয়। সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ আবেদনটি করেন।

আবেদনকারীর আইনজীবী মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, সালাহ উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করা হবে না, এ বিষয়ে রুলও চাওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর হাইকোর্টে আবেদনটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

হাসিনা আহমদ গতকাল বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, এক দিন আগে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর সালাহ উদ্দিন আহমদ মুঠোফোনে স্ত্রী হাসিনা আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কোনো কথা হয়নি। 

বিএনপিও অভিযোগ করেছে, পুলিশ, ডিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহ উদ্দিন আহমদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ সালাহ উদ্দিন আহমদকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেননি। গতকাল রাতে হাসিনা আহমদ স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ করে বিএনপি। দলীয় সূত্র জানায়, ঘটনা যেহেতু উত্তরায়, তাই উত্তরা থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয় গুলশান থানার পুলিশ। পরে উত্তরা থানায় গেলে বলা হয় প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে নিয়ে আসার। এই অজুহাতে তারাও জিডি নেয়নি।

বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিন আহমদ উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে থাকতেন। বাড়ির মালিক তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় বলে জানান হাসিনা আহমদ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির সামনে ২০-২৫ জন ব্যক্তি সশস্ত্র অবস্থান নেন। এ খবর তৎক্ষণাৎ বাড়ির কর্মচারীরা মালিককে জানান। কিছু সময় পর অস্ত্রধারীরা বাড়ির ফটক ভাঙার চেষ্টা করলে কর্মচারীরা ফটক খুলে দেন। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভয়ে বাড়ির মালিক রাতে আর বাসায় ফেরেননি। সকালে তিনি বাসায় ফিরে জরুরি কিছু কাগজপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান।

এর আগে সালাহ উদ্দিন আহমদের বাসার কেয়ারটেকার ও দুজন গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে তিন দিন পর আদালতে হাজির করা হয়।