বাংলাদেশ ও ভারতের মাদক চোরাচালানবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর

মাদক চোরাচালান ও মাদকের অপব্যবহার-বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। এ চুক্তির অধীনে সীমান্তে মাদক চাষ বন্ধ, মাদকের কারখানা শনাক্ত করে সেগুলোকে ধ্বংস করা, মাদক চোরাচালান রোধ ও মাদকদ্রব্য তৈরি করার সামগ্রী পাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ করবে দুই দেশ।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলে এ বিষয়ে দুদিনব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ভারতের ১০ জন ও বাংলাদেশের ১১ জন প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বজলুর রহমান ও ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বি বি মিত্র। দুই দেশের মধ্যে এটি চতুর্থ বৈঠক। এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম, ২০১১ সালে ও ২০১২ সালে সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেনসিডিলের কতগুলো কারখানা আছে সেগুলোর তালিকা ও মালিকদের নাম ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোকে দেওয়া হয়েছে। তবে কারখানার সংখ্যা কত এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে চাননি। বি বি মিত্র বলেন, ভারতের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে ফেনসিডিল চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের নাম সরবরাহ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বজলুর রহমান দাবি করেছেন দেশে ফেনসিডিল চোরাচালানের পরিমাণ ৩২ ভাগ কমেছে। গত পাঁচ বছরে অধিদপ্তরের নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থার কারণে এটি কমেছে বলে তিনি জানান।