দেশকে ভালোবাসার অঙ্গীকার

মহান স্বাধীনতা দিবসে গতকাল সকালে ফরিদপুর স্টে​ডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা (ওপরে), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মাঠে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতির প্রতীকী চিত্র (নিচে বাঁয়ে), কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা শিশু পরিবারের শারীরিক কসরত ছবি l প্রথম আলো
মহান স্বাধীনতা দিবসে গতকাল সকালে ফরিদপুর স্টে​ডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা (ওপরে), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মাঠে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতির প্রতীকী চিত্র (নিচে বাঁয়ে), কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা শিশু পরিবারের শারীরিক কসরত ছবি l প্রথম আলো

‘এ দেশ আমাদের জন্মভূমি। দেশকে সদাজাগ্রত সৈনিকের মতো আমরা সুরক্ষিত রাখব। এই দেশ আমার মা। দেশকে আমরা মায়ের মতো ভালোবাসব’—এ প্রত্যয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। 
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ভোরে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর কুচকাওয়াজ হয়। শরীরিক কসরত প্রদর্শন করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বরিশাল: ভোরে নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের লোকজন। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় অশ্বিনীকুমার হলে সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
ফরিদপুর: সকাল সাড়ে সাতটায় শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শহীদদের নামসংবলিত স্মৃতিবেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। গণকবর জিয়ারত শেষে সাড়ে আটটায় ফরিদপুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ হয়। সাড়ে ১১টায় স্থানীয় কবি জসীমউদ্দীন হলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ: সকালে জেলা শহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহরের কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের মাঠ চত্বরে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর: সকালে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজের উদ্বোধন ও গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। এ ছাড়া শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা হয়। শিশু পরিবার, হাসপাতাল, কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
নড়াইল: সকালে রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ, বধ্যভূমিত ও গণকবরে ফুল দেওয়া হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বিকেলে সুলতান মঞ্চ চত্বর থেকে বিজয় মিছিল বের করা হয়।
বাগেরহাট: সকালে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট দলের সদস্যরা জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে কবুতর ও বেলুন ওড়ানো হয়।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ জয় বাংলার পাদদেশে সকালে উপাচার্য মো. শামসুদ্দীন পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা: সকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। বিকেলে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া: কালেক্টরেট চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা। এ সময় শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। পরে শহরের মজমপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও জেলার বধ্যভূমিগুলোতে ফুল দেওয়া হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা: স্থানীয় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও শিশু একাডেমীর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): সকালে পিরোজপুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়। সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।